বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্প কত বাড়ল ১৫০০ নাকি ২০০০ ?? কি সিধান্ত নিল সরকার ।।


 


 ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্প কত বাড়ল ১৫০০ নাকি ২০০০ ?? কি সিধান্ত নিল সরকার ।। 

২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই প্রকল্প চালু করেছিলেন মমতা। রাজ্যের সাধারণ মহিলারা মাসে ১০০০ টাকা এবং তফসিলি জাতি-উপজাতির মহিলারা ১২০০ টাকা পান।

বলা হয় এই প্রকল্পই রাজ্যের মহিলাদের একটা বড় অংশের ভোট শাসক দলের দিকে টেনে এনেছিল।

সরকারি প্রকল্প থেকে সরাসরি নগদ সাহায্যের আশায় যারা ছিলেন, তাদের হয়তো কিছুটা হতাশ করেছে এই বাজেট। কিন্তু মমতা সম্ভবত বুঝিয়ে দিলেন, তিনি শুধুমাত্র ‘নগদ সাহায্যের রাজনীতি’তে ভরসা করতে রাজি নন।

শুভেন্দু অধিকারী তো সরাসরি বলেছিলেন— রাজ্য সরকার ১৫০০ টাকা করবে, আর বিজেপি ক্ষমতায় এলে ৩০০০ টাকা দেবে! কিন্তু বাজেট ঘোষণার পর দেখা গেল, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-এর বরাদ্দ একটুও বাড়েনি।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্ভবত  ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-এর বরাদ্দ না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।


আরও জানুন ঃ নতুন নিয়ম চালু হল আধার কার্ডে , কি নিয়ম জানেন কি ঃঃ জেনে নিন ।।

সেই কারণেই ২০২৫-এর বাজেট ঘোষণার আগে অনেকেই ভাবছিলেন, এবার হয়তো মমতা এই টাকার পরিমাণ আরও বাড়াবেন। বিরোধীরাও এই হিসাব করেই নির্বাচনী প্রস্তুতি নিচ্ছিল। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল, সরকার সেই পথে হাঁটল না।

বলা যায়, এটি ছিল সেই নির্বাচনের অন্যতম প্রধান ‘মাস্টারস্ট্রোক’। এই প্রকল্পই রাজ্যের মহিলাদের একটা বড় অংশের ভোট শাসক দলের দিকে টেনে এনেছিল।


শুধু পশ্চিমবঙ্গই নয়, গোটা দেশে এখন বিনামূল্যে নগদ সাহায্যের রাজনীতি তুঙ্গে। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের সময়ও দেখা গেছে— আম আদমি পার্টি ২১০০ টাকা এবং বিজেপি ২৫০০ টাকা মহিলাদের দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।



২০২১ সালের মতোই ২০২৬ সালের নির্বাচনেও ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ বড় ভূমিকা নেবে? এই প্রশ্নের উত্তর সময়ই দেবে।


এতদিন লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা বাড়বে বলে যে জল্পনা ছিল সেই জল্পনার অবসান ঘটলো।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন