বুধবার, ৮ মে, ২০২৪

কলকাতা হাইকোর্টেরএকাধিক নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট , যার জেরে এখনই চাকরি যাচ্ছে না ২০১৬-র এসএসসির ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের

 

ssc mamla suprime court



কলকাতা :

 নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টেরএকাধিক নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট । যার জেরে এখনই চাকরি যাচ্ছে না ২০১৬-র এসএসসির ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের। ১৬ জুলাই পর্যন্ত যোগ্য-অযোগ্য সবার চাকরি বহাল থাকছে। আগামী ১৬ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।  শীর্ষ আদালতের এই নির্দেশের জেরে আপাতত স্বস্তিতে রাজ্য সরকার ও চাকরিহারারা।

 

সুপ্রিম কোর্ট যা  বলেছে-


১) যদি যোগ্য ও অযোগ্য আলাদা করা সম্ভব হয়, তাহলে পুরো প্যানেল বাতিল করা ঠিক হবে না।

২) অতিরিক্ত শূন্য় পদ তৈরির ক্ষেত্রে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পর রাজ্য় মন্ত্রিসভার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। এক্ষেত্রে আগেরই দিন কিছুটা স্বস্তি দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার সেই নির্দেশ বহাল রেখে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, CBI তদন্ত চলবে। কিন্তু মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে পারবে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সি।


কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের আদেশ এখনই প্রযোজ্য হচ্ছে না। বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চের অর্ডার ছিল যে ২০১৬ সালে স্কুলে চাকরি পাওয়া ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের পুরো প্যানেল এখনই বাতিল করে দিতে হবে। এই অর্ডার এখনই প্রযোজ্য হচ্ছে না। আপাতত এই আদেশ স্থগিত রাখা হল। অর্থাৎ, বড় স্বস্তি মিলল ২০১৬ সালের চাকরিপ্রাপকদের।




যদি যোগ্য ও অযোগ্যদের আলাদা করা সম্ভব হয় সেক্ষেত্রে অযোগ্যদের চাকরি যাবে। এসএসসি আজ তাদের অবস্থান নিয়ে বলে, যোগ্যদের পক্ষে তারা সওয়াল করছে। অযোগ্যদের পাশে তারা নেই। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন ওঠে, সুপ্রিম কোর্টের সামনে তারা যদি তথ্যপ্রমাণ দিয়ে যোগ্য ও অযোগ্যদের তথ্য পেশ করতে পারে, তাহলে পুরো প্যানেল কেন বাতিল করা হবে ? 



আজ সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ ১. যোগ্য ও অযোগ্যদের যদি আলাদা করা সম্ভব হয়, সেক্ষেত্রে পুরো প্যানেল বাতিল করা ঠিক হবে না। সেইমতো পুরো প্যানেল বাতিল আপাতত হচ্ছে না।

 ২.অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি ইস্যুতে CBI তদন্ত চলবে। কিন্তু মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে পারবে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সি।

৩. যেসব অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীকে সিবিআই ইতিমধ্যে চিহ্নিত করতে পেরেছিল, এসএসসিও কোর্টে স্বীকার করে নিয়েছিল, তাঁদের ক্ষেত্রে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ ছিল, চার সপ্তাহের মধ্যে এখন পর্যন্ত যে বেতন নিয়েছেন সেই পুরো বেতন ১২ শতাংশ সুদ-সহ ফেরত দিতে হবে।

 আপাতত সুপ্রিম কোর্ট এই বেতন ফেরতের আদেশের ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়ে দিল। এই সমস্ত কিছুতে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ হয়ে গেল। ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন